অনলাইন থেকে ইনকাম

ইউটিউব থেকে ইনকামচাকরির বাজার বর্তমান সময়ে এসে অনেক বেশী প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়েছে। আর এই কারণেই এখন সবাই অন্য একটি বিকল্প মাধ্যম থেকে ইনকামের রাস্তা খুজছে। বিকল্প ইনকামের রাস্তা হিসেবে শিক্ষিত মানুষ প্রথমেই অনলাইকেই বেছে নিয়েছে। কারণ বর্তমানে অনলাইন থেকে ইকনকামের অনেক রাস্তা আছে। 


আপনি চাইলে আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি রাস্তা বেছে নিতে পারেন। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কি কি পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করবো।

আলোচনার শুরুতেই আপনাদেরকে আরো একটি বিষয় অবগত করবো আর সেটা হলো আপনি আপনার জীবনে যে বিষয়েই কাজ করতে জাননা কেনো আপনাকে অবশ্যই স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। নির্দিষ্ট বিষয়ে যথাযথ স্কিল ছাড়া আপনি কোনো দিনই যথাযথ সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। 

তাই আমি আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এমন যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো আপনাকে অবশ্যই সেই বিষয় গুলোর উপরে যথাযথ শিক্ষা বা দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। তাহলেই আপনি নিশ্চিত অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

পেজ সুচিপত্রঃঅনলাইন থেকে ইনকামের উপায় সমূহ

ব্লগিং করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে ইনকাম করাটা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করে থাকে অনেক ব্লগাররা। এখন অনেকেই স্টুডেন্ট জীবন থেকে ব্লগিং করে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে আপনাকে আর আপনার ক্যারিয়ার সম্পর্কে আলাদা করে চিন্তিত হতে হবে না। 

আরও পড়ুনঃটুইটার একাউন্ট থেকে কি ইনকাম সম্ভব

আপনি শুধু ধৈর্য্য সহকারে ব্লগের জন্য নির্দিষ্ট মাধ্যম ঠিক করে, কি বিষয়ে ব্লগিং করতে চান তা ঠিক করে, যথাযথ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে, নিয়মিত এবং ধৈর্য্য সহকারে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই একটা সময় গিয়ে চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

এই যে আপনি আমার এই আর্টিকেল টা পড়ছেন! আমি কিন্তু ব্লগিং করার জন্য প্রথমে নিজের স্কিল ডেভেলপ করেছি, ব্লগিং করার জন্য এই সাইটটি তৈরি করেছি তারপর বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি লিখেছি। সোজা বিষয় এটিই ব্লগিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

আমাদের দেশে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকেই খুব ভালো ইনকাম করে থাকেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বাইরে ঘুরে ঘুরে মার্কেটিং করতে হবে না। আপনাকে শুধুই দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। ধরুণ আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি কি করে মার্কেটিং করবেন? আমি আপনাকে সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক প্রকারের এবং অনেক নামি-দামি মার্কেট প্লেস রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সবচাইতে নামি-দামি একটি মার্কেট প্লেস হলো অ্যামাজন। অ্যামাজন মার্কেট প্লেসে আপনি সব ধরণের প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার পছন্দীয় একটি প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন।

অ্যামজন থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে প্রথমেই আপনাকে অ্যামাজনে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এর পর আপনি আপনার মার্কেটিং এর জন্য নির্দিষ্ট মাধ্যম গুলো ঠিক করে নিবেন। তারপর আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংটি আপনার অ্যাফিলিয়েট করার মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করে দিবেন। 

যখন কেউ আপনার শেয়ারকৃত লিংকের মাধ্যমে মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করে সেই পণ্য কিংবা অন্য কোনো পণ্য ক্রয় করবে তখন সেই পণ্য থেকে প্রাপ্ত লাভ্যাংশের কিছু অংশ আপনারা পেয়ে যাবেন। এটিই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইনকাম

বিশ্বে বর্তমানে অনেক বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। যেগুলো এখন তাদের ব্যবহারকারীদের উপার্জনের বিষয়ে খেয়াল রাখছে। এখন আপনি চাইলেই যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে খুব ভালো পরিমানে উপার্জন করতে পারেন। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ভালো ইনকামও করছেন আবার এর মজাও নিচ্ছেন বিষয়টা কি দারণ না? ঠিক তাই।

আমি আমাদের দেশের সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েই যদি উদাহরণ দিতে চাই তাহলে প্রথমেই বলবো আমাদের দেশে সবচাইতে বেশী যে সোশ্যাল মিডিয়া বা সোশ্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হয় তা হলো ফেসবুক। শুধু আমাদের দেশেই নয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ফেসবুক ব্যবহার এর ব্যাপকতা অনেক বেশী। আমাদের দেশ থেকে আপনি চাইলেই খুব সহজেই এই ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মাসে খুব স্মার্ট একটি আর্নিং করতে পারেন। ধরুন আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। সেখানে আপনার ফলোয়ার সংখ্যা মোটামুটি অনেক ভালো।

এখন আপনি যদি এই ফেসবুকের পেজে আপনার পছন্দীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও করে ছেড়ে দিন ও তা যদি ভালো দর্শক প্রিয়তা পায় তাহলেই আপনি এখান থেকে ভালো উপার্জন করতে পারবেন। শুধু ফেসবুক পেজই নয় ফেসবুকের নিজস্ব প্লাটফর্মে আরো অনকে উপায়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন।  সুতরাং দেরি কেনো! যাস্ট শুরু করে দিন।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

দেখুন আপনি অনলাইনের যে মাধ্যম ব্যবহার করেই ইনকাম করেন না কেনো সেটা কিন্তু এই ফ্রিল্যান্সিং এর আন্ডারেই পরে। তারপরও আমরা ফ্রিল্যান্সিং টাকে এই ভাবে ভাবি না বা দোখি না। ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা বুঝি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডাজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠিত মার্কেট প্লেস রয়েছে বা নতুন করে তৈরি হচ্ছে। উল্লেখিত বিষয় গুলোর যে কোনো একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে বা অন্য কোনো ভালো বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু মার্কেটপ্লেস গুলো হলো- ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি।

উল্লেখিত মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে। তারপর আপনি আপনার স্কিল সংক্রান্ত গিগ তৈরি করে আপনার একাউন্ট এর আন্ডারে সাবমিট করবেন। 

তারপর যখন কোনো বায়ার এসে আপনার গিগ পছন্দ করে আপনাকে নক করে আপনার সাথে ডিল ফাইনাল করবে এবং নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী আপনি কাজটি করে যখন আপনি বায়ারের নিকট সাবমিট করবেন তখন আপনি আপনার পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। ঠিক এই প্রসেসিং এর মাধ্যমেই আসলে ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত মার্কেট প্লেস গুলো থেকে ইনকাম হয়ে থাকে।

ই-কমার্স এর মাধ্যমে ইনকাম

দারাজ এর নাম নিশ্চয় শুনেছেন। আবার আমরা একটু আগে অ্যামাজন নিয়ে আলোচনা করলাম। এগুলিই হলো ই-কমার্স সাইট। আপনি ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে যেমন নিজে ইনকাম করতে পারেন আবার অন্যদের ইনকাম করাতেও পারেন। আমাদের দেশে শুধু দারাজই নয় আরো অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেই প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে মাসে কোটি কোটি টাকা ইনকাম বা উপার্জন হয়।

আপনি নিজে ই-কমার্স সাইট বানিয়ে যেভাবে ইনকাম করবেন সেটা খুব সহজ। প্রথমেই আপনাকে একটি ই-কমার্স সাইট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বানাতে হবে। তারপর আপনার পণ্য গুলো সেই সাইটে ছবি ও তথ্য দিয়ে তুলে ধরবেন। তারপর সেই পুরো সাইটিকে মার্কেটিং করবেন। হয়ে গেলো সব কাজ। এর পর পাবলিক আপনার মার্কেট প্লেস দেখবে আসবে প্রোডাক্ট কিনবে আপনার ইনকাম হবে।

আপনি যে ভাবে অন্যদের ইনকাম করাবেন এই বিষয়টিও খুব সহজ। আপনি আপনার ই-কমার্স সাইটে আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রির পাশাপাশি অন্যদের আপনার ই-কমার্স সাইটে একাউন্ট করে তাদের পণ্যের মার্কেটিং করতে দিবেন। এতে করে অন্যরাও তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করবে এবং তারা যে আপনার ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করে তাদের পণ্য সেল করছে সেটার জন্যও আপনি কমিশন পাবেন।

উল্লেখিত অনলাইনে ইনকামের পদ্ধতি গুলো ছাড়াও আরোও অনেক ধরণের উপায় বা পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে ইনকাম বা উপার্জন করা শুরু করে দিতে পারেন। অনলাইনে উপার্জন করা যায় এমন কিছু আরো উপায় নিয়ে আমরা পরবর্তীতে কোনো একটি আর্টিকেলে আলোচনা করবো। আজকে আপনাততো যেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তা নিয়ে ভাবুন এবং কাজ শুরু করে দিন।

 

প্রিয় পাঠক আশা করছি অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এমন কিছু বিষয় বা মাধ্যম আপনার সামনে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে তুলে ধরতে পেরেছি এবং আপনাকে অবহিত করতে পেরেছি। আপনার যদি অনলাইনে ইনকাম সংক্রান্ত আরো কোনো বিষয় সম্পর্কে জানার বা জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন পরে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। আমরা আপনার কমেন্ট এর যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়াও আপনি আরো কি বিষয়ে জানতে চান তা লিখেও কমেন্ট করতে পারেন।

পাঠক আমরা "চাকরি নিন" সাইটের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রকাশিত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো সংগ্রহ করে প্রকাশ করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরণের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url