জামের বিচির পাউডার

 আপনি জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতা কি সে বিষয়ে তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়ছেন? যদি জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতা জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনাকে স্বাগতম। জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতা জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

জামের বিচির পাউডার
আজ আমি এই আর্টিকেল জুড়ে জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতা এ বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক জামের বিচির পাউডার এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ জামের বিচির পাউডার

জামের বিচির পাউডার

আজ আমি জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতার বিষয়ে কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে দেয়ার জন্য আর্টিকেলটি লেখা শুরু করলাম। আশা করি জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনারা উপকৃত হবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের উপকারিতা অনেক এবং জামের বিচিও কিন্তু কোন অংশ কম নেই। পৃথিবীর সব জায়গাতেই প্রায় জাম গাছ দেখা যায়। জাম খেতে পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ নাই জাম আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্ট ভালো রাখে। ত্বক চুল ভালো রাখে, দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে। জামের মত জামের বিচির পাউডারও অনেক উপকারী। 

জামের বিচি রক্তেইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতা জানতে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন। জামের বিচির পাউডার প্রত্যেকদিন খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে। জামের বিচির পাউডার অধিকাংশ আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয় যার সংস্কৃত নাম জাম্বো। জাম ফল এবং বীজ উভয়ে গুণগুলো উপস্থিত। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিভাবে জামির বীজ ব্যবহার করবেন প্রথমে জাম পরিষ্কার করে একটি পাত্রে রাখুন, আঙ্গুল দিয়ে ফল থেকে বীজগুলো ছড়িয়ে নিন, বীজগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন, যাতে গায়ে কোন শ্বাস লেগে না থাকে। 

আরো পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালি ব্যাথার ২৪টি কারণ ও প্রতিকার

পরিষ্কার কাপড়ে তিন থেকে চার দিন রোদে শুকিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে বাইরের খোসা ছাড়িয়ে সবুজ অংশ বের করুন। এবার শুকনো বীজ গুলো ভালো করে গুঁড়ো করে নিন, ভালো করে গুঁড়ো করার পর চালুই দিয়ে চেলে নিন, তারপর জামের বীজের গুড়োর একটি বায়ু নির্ধারণ বতলে রেখে দিন এবং প্রয়োজন মত ব্যবহার করুন। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জামের গুড়ার বীজ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন, এভাবে নিয়মিত জামের বিচির পাউডার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি জামের বিচির পাউডার এর উপকারিতা গুলো বুঝতে পেরেছেন।

জামের বিচি চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম

এই আর্টিকেলে জামের বিচি চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকরা জামের বিচি খাওয়ার পরামর্শ দেন। জামের বীজ ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে জামের বিচি আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জাম ও জামের বীজ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রথমে জাম পরিষ্কার করে একটি পাত্রে রাখুন, আঙ্গুল দিয়ে ফল থেকে বীজগুলো ছড়িয়ে নিন, বীজগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নীন।

যাতে গায়ে কোন শ্বাস লেগে না থাকে, পরিষ্কার কাপড়ে তিন থেকে চার দিন রোদে শুকিয়ে নীন, শুকিয়ে গেলে বাইরের খোসা ছাড়িয়ে সবুজ অংশ বের করুন, এবার শুকনো বীজ গুলো ভালো করে গুড়ো করে নিন। গুড়ো করার পর চালুন দিয়ে চেলে নিন তারপর জামের বীজের গুঁড়ো একটি বাতাস মুক্ত শিশিতে রেখে দিন এবং প্রয়োজনমতো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জামের বিচির চূর্ণ খেলে বিভিন্ন রকম অসুখ থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি অবশ্যই জামের বিচি চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।

জাম পাতার ঔষধি গুনাগুন

আজ আমি জাম পাতার ঔষধি গুনাগুন নিয়ে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। দেশের আনাচে-কানাচে অনেক জাম গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ইংরেজিতে এটি ইন্ডিয়ান ব্ল্যাকবেরি নামে পরিচিত সাধারণত জুন থেকে জুলাই মাসে জাম পাওয়া যাই দেখতে ছোট এই জাম ফলটি খেতে সুস্বাদু ফলটি একই সঙ্গে নানা পুষ্টিগুনে ভরপুর। জামের মতো জাম গাছের পাতাও খুব উপকারী, তেমনি এতে রয়েছে অনেক ওষুধিগুণ, যে কেউ চাইলে সারা বছর ধরে জাম পাতা পেতে পারেন খুব সহজে। 

আসুন তাহলে জেনে নিই জাম পাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। চিকিৎসার ভাষায় গাছটির নাম হল সিজিজিয়াম কিউমিনি এই চির সবুজ গাছটি দক্ষিণ এশিয়ায়, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় জন্মায়। এ পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়া এই পাতার রস রক্তে শর্করা পরিমাণ কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, এলার্জি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। চিকিৎসকদের মতে জাম ও জাম পাতা দেহে ক্যান্সার বিরোধী কোষ তৈরি করে। 

আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ৯টি উপায় - টিউমার প্রতিরোধের উপায়

জাম পাতার উপকারিতা অনেক ওজন কমাতে জামপাতা রস বিশেষ উপকারী। গরম পানিতে জাম পাতা ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে পানির রং সবুজ হয়ে এলে নামিয়ে নিন এই পদ্ধতিতে প্রতিদিন সকালে পান করুন আপনার ওজন কমে যাবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গরম পানিতে জাম পাতা ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে পানির অংশ সবুজ হয়ে গেলে তাতে নিমপাতা রসের সঙ্গে ফুটিয়ে একসঙ্গে পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

এটি দাঁতের অসুখ সারাতেওসাহায্য করে। সাদা বা রক্ত আমাশয় কচি পাতার রস দুই থেকে তিন চা চামচ একটু গরম করে ছেঁকে নিয়ে খেলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সেরে যাবে। বিছানায় প্রসাব এ রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুবিধায় পড়েন এবং অনেক মাকেও সমস্যায় পড়তে হয়, সে ক্ষেত্রে দুই থেকে তিনটা চামচ জাম পাতার রস বয়স অনুপাতে খেলে উল্লেখযোগ্য ফল পাবেন। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি জাম পাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।

ওজন কমাতে যেভাবে জামের বিচি খাবেন

ওজন কমাতে যেভাবে জামের বিচি খাবেন বিভিন্ন সিজনে যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেই ফলগুলো আমাদের সবারই খাওয়া উচিত। কেননা সিজনের ভিতরে সৃষ্টিকর্তা যে সমস্ত ফল আমাদের প্রকৃতিতে দিয়েছে। এই ফলগুলো শরীরের নানা বিদ রোগ সারাতে সক্ষম। গ্রীষ্মকাল মানে নানা ধরনের উপকারী ফলের মৌসুম, এমনই একটি উপকারী ফল হচ্ছে জাম। জাম খাওয়ার মাধ্যমে অনেকগুলো রোগ গোড়া থেকে নির্মূল করা সম্ভব তার মধ্যে একটি অন্যতম রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস । 

আরো পড়ুনঃ আপনার শরীর যে অসাধারণ তার কিছু বিশেষ প্রমাণ

আমরা সাধারণত জাম খেয়ে জামের বিচি ফেলে দিই কিন্তু অনেকেই জানিনা এই জামের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুসারে জামের বিচির গুণাগুণ অপরিসীম ওজন কমাতে যেভাবে জামের বিচি খাবেন, সেই সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। কিভাবে জামের বিচি খেতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা, প্রথমেই জানতে হবে কিভাবে এই জামের বিচি খাওয়ার উপযোগী হিসেবে তৈরি করতে হবে প্রথমে জামগুলোর উপর থাকা কালো যে শাঁস আছে তার সরিয়ে নিতে হবে । 

তারপরে জামের বিচির উপরে একটা আবরণ থাকে সেটিও ছাড়িয়ে নিতে হবে, এরপর এটি ভালোমতো ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে, ভালোভাবে শুকানো হলে জামের বীজগুলোকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিন, ভালোভাবে গুঁড়ো করার পর একটা চালনে দিয়ে চেলে নিন, এরপর একটি বায়োহীন পাত্রে রেখে দিন। এটি খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জামের বিচি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন, জামের বিচি ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা কমাতে ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে জামের বিচি খুবই উপকারী। 

উপসংহার

পরিশেষে একথা বলে শেষ করবো যে জাম, জামের বিচি এবং জামের পাতা সবকিছুই মানব শরীরের জন্য মহা ঔষধ। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে জাম এবং জামের বিচির বিভিন্ন উপকারী দিক নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং আপনি সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন। তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url