ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ডেঙ্গু হল (হাড় ভাঙা জ্বর) একটি ভাইরাল সংক্রমণ । যা মশা থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় জলবায়ুতে বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকের উপসর্গ থাকে না। কিন্তু যারা করে তাদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলো হলো উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ফুসকুড়ি। 

বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপতা অন্য যেকোনো সময় তুলনায় অনেক বেশি আছে স্বাভাবিকভাবে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মানুষের মাঝে প্রবল উদ্যোগ তৈরি হয়েছে।

শরীরের কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত হয়েছেন এবং সে ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি হতে পারে তা  বর্ণনা করা হল।

সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর । শরীরে ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রী তাপমাত্রা থাকতে পারে ।শরীরে জ্বর একটানা থাকতে পারে আবার ঘাম দিয়ে জ্বর  ছেড়ে দেওয়ার পর আবার জ্বর আসতে পারে ,এর সাথে শরীরের  ব্যাথা , মাথাব্যথা ,চোখের পিছনে ব্যথা এবং চামড়ার নিচে লালচে দাগ (র‍্যাশ) হতে পারে তবে এগুলো না থাকলে ও ডেঙ্গু হতে পারে।

জ্বরে আক্রান্ত হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তারা জ্বর কে অবহেলা করেছেন। জ্বরের সাথে সাথে যদি সর্দি, কাশি, প্রসাবে জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোন বিষয় জড়িত থাকে তাহলে সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্য কিছু হতে পারে। তবে জ্বর হলেই সচেতন থাকতে হবে

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীরা বিশ্রামে থাকবে।ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন, জ্বর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয়।একজন ব্যক্তি সাধারণত প্রতিদিন যেসব পরিশ্রমের কাজ করে সেগুলো না করাই ভালো ।পরিপূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।

প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে যেমন ডাবের পানি , লেবুর  শরবত , ফলের জুস,  এবং খাবার াইন স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ডেঙ্গু হলে  যেসব ওষুধ খাওয়া উচিত নয়

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ  চার গ্রাম বা ৮ টি ট্যাবলেট চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর  প্যারাসিটামল খেতে পারেন। কিন্তু যেসব ব্যক্তিদের লিভার, হার্ট কিংবা কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ দিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে এসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না খেলে পরে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে এভাগ গুলো হচ্ছে এ, বি এবং সি

সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ এই সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে।তো এবার দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল আরো এগিয়ে এসেছে।এখন জুন মাস থেকে ডেঙ্গু জ্বরের সময় শুরু হয়েচে।

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিস মশা তৎপর হয়ে ওঠে এডিস মশা কখনো অন্ধকারে কামড়ায় না ।

পানি জমিয়ে না রাখা

এডিস মশা সাধারণত ডিম পারে স্বচ্ছ পানিতে। কোথাও যাতে পানি তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি না জমে থাকে। এ পানি যে কোন জায়গায় জমতে পারে বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় ,ফুলের টবে নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন পয়েন্টে ,রাস্তার পাশে পড়ে থাকা টায়ার কিংবা অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে।