অ্যাপ ডেভলপার - অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার

বর্তমান সময়ে অ্যাপ ডেভলপার পেশাটিকে চেনেন না বা অ্যাপ ডেভেলপিং কথাটি শুনেনি এমন শিক্ষিত মানুষ যাওয়ায় যাবে না। এখন আমরা মোবাইলাইজেশনের যুগে বসবাস করছি। সব কিছুই প্রায় মোবাইল কেন্দ্রিক। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বিষয়টিও অনেকটাই মোবাইল কেন্দ্রীক।

সাধারণত একজন অ্যাপ ডেভলপার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল, ওয়েব এবং অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন। তবে লক্ষ করলে দেখবেন বেশীরভাগ অ্যাপ ডেভলপার মোবাইলকে কেন্দ্র করেই অ্যাপ্লিকেশন/এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন। অন্যান্য অপশন গুলো শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জনের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

ক্যারিয়ারঃ চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা বা পদবী এটি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যাও বেড়েছে। সুতরাং এই সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে আপনাকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যথাযথ জ্ঞান অর্জন অব্যাহত রাখতে হবে। তবে এই পেশায় নিজেকে নিয়জিত করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। চ্যালেঞ্জিং তবে সব মিলিয়ে বলতে পারি এই পেশা বা পদবী যুগোপযোগী ও আধুনিক মানের একটি পেশা।

একজন অ্যাপ ডেভলপার

  • পদবীঃ অ্যাপ ডেভলপার/মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কম্পিউটার/কম্পিউটার সায়েন্স/ইনফরমেশন টেকনোলজিতে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রীধারী হতে হয়। তবে বেশীর ভাগ কোম্পানি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের দক্ষতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে। সুতরাং আপনাকে প্রচুর পরিমানে দক্ষ হতে হবে ৷
  • প্রতিষ্ঠানঃ সরকারি/বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি।
  • ধরনঃ পার্ট টাইম/ফুল টাইম।
  • অভিজ্ঞতাঃ সাধারণত ১-২ বছর চাওয়া হয়।
  • স্কিলঃ অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা, কোডিং, API, সিকিউরিটি বিষয়ক দক্ষতা, GUI ইত্যাদি বিষয়ে পর্যাপ্ত স্কিল্ড হতে হবে।
  • বেতনঃ অ্যাপ ডেভলপার বর্তমানে একটি ট্রেন্ডিং পেশা। বেতন মোটামুটি ভালোই হয়ে থাকে। অ্যাপ ডেভলপারদের বেতন নূন্যতম ২০-৪০ হাজার টাকার মতো হয়।

 

কাজঃ সাধারণত একজন অ্যাপ ডেভলপারের যে ধরনের কাজ গুলো করতে হয় সেগুলো হলো-

  •  ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কি চাহিদা তা জানা এবং কাজ সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করা।
  •  সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি ডিজাইন সেট করা এবং সেই ডিজিইনকে ভিত্তি করে প্রযুক্তিগত দিক গুলো নির্ধারিত করা।
  •  কোডিং বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি প্রাইমারি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা এবং প্রাইমারি কাজে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা।
  •  সকল ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে চূড়ান্ত ভাবে একটি অ্যাপ তৈরি করা এবং তা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পাবলিশ করা।
  •  অ্যাপ পাবলিশ করা শেষে মাঝে মাঝে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অ্যাপের তথ্য ও অ্যাপ আপডেট করা।

কোথায় শিখবেন?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদী অ্যাপ ডেভেলপিং বিষয়ে কোর্স করে নিতে পারেন।

তবে এই পেশায় পুরোপুরি প্রফেশনাল হতে হলে উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়ায় উত্তম। দেশের অনেক স্বনামধন্য সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে কম্পিউটার সায়েন্স বা অ্যাপ ডেভেলপিং সম্পর্কিত সাবজেক্ট গুলো স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেয়া যায়। স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠান হলো-

উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলো ছাড়াও আরো অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো থেকে প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জন করা যায়।

 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনাকে অ্যাপ ডেভলপার পেশা বা পদবী সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে দয়াকরে কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়াও আরোও কি বিষয়ে আপনি জানতে চান তা লিখেও কমেন্ট করতে পারেন।

পাঠক আমরা "চাকরি নিন" ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রকাশিত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংগ্রহ করে প্রকাশ করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরনের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url