মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো - মাইক্রোসফট এর জনক কে

 মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? সাধারণত অনেকেই এ প্রশ্নটি পড়ে থাকে। মাইক্রোসফট হলো একটি সফটওয়্যার কোম্পানি সাধারণত এটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার পরিচালনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিনা। আপনাদের জানার সুবিধার্থে মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো - মাইক্রোসফট এর জনক কে

মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি সাধারণত সকলেই কমবেশি মাইক্রোসফট শব্দটির সাথে পরিচিত। এই প্রযুক্তির দুনিয়াতে কম্পিউটার হল একটি আদর্শ ডিভাইস। কম্পিউটার তৈরি করার পর থেকে আমাদের এই পৃথিবী আরো বেশি উন্নত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করি এবং আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে হয় সাধারণত এর জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা জরুরী।

আরো পড়ুনঃ ২০ টি সেরা উপায়ে মাসের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা

সাধারণত কম্পিউটার এবং আজকের এই প্রযুক্তি গোটা বিশ্বের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। যারা মাইক্রোসফট সম্পর্কে জানেনা সাধারণত তারা মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। আমরা যেহেতু আজকের এই আধুনিক দুনিয়াতে বসবাস করি সেও তো আমাদেরকে মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো এ বিষয়ে সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে।

সাধারণত মাইক্রোপ্রসেসর এবং সফটওয়্যার এ দুইটি নামের সংমিশ্রণে মাইক্রোসফট নামটি তৈরি করা হয়েছে। মাইক্রোসফট যখন প্রতিষ্ঠা করা হয় সাধারণত তখন এর সদর দপ্তর ছিল নিউ মেক্সিকোর আলবুকুয়ের্ক শহরে। কিন্তু বর্তমানে মাইক্রোসফট এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটন এর রেডমন্ড শহরে অবস্থিত। মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা দুই বন্ধু বিল গেটস এবং পল অ্যালেন।

ছোটবেলা থেকে সাধারণত তারা দুইজন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উপরে বেশি দক্ষ ছিল এবং আকর্ষণ ছিল বেশি। তখনকার সময়ে কম্পিউটার খুবই দামি একটি পণ্য ছিল। কম্পিউটার কেনার এবং ব্যবহার করার সামর্থ্য সকলের ছিল না। কিন্তু প্রোগ্রামিং করার জন্য তাদের কম্পিউটার এর প্রয়োজন ছিল। সাধারণত সেই সময় কম্পিউটার সেন্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার চালানোর জন্য একসাথে দিত কিন্তু এর জন্য তারা ঘণ্টায় ৪০ ডলার করে নিত।

১৯৭৪ সালে দুই বন্ধু আলাদা ইউনিভার্সিটি ভর্তি হয় তখন তারা দুইজন দুই দিকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সে সময় আল্টিয়ার ৮৮০০ নামে একটি মাইক্রো কম্পিউটার বাজারে আসে। সাধারণত এই বিষয়টি তাদের দুই বন্ধুর নজরে আসে তখন তারা সিদ্ধান্ত নেই মাইক্রো কম্পিউটারের জন্য তারা একটি প্রোগ্রাম তৈরি করবে যার সাধারণত মাইক্রো কম্পিউটার এর ব্যবহারকে আরো বেশি সহজ করে দেবে।

সাধারণত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা সে মাইক্রোকম্পিউটার নির্মাতাদের অফিসে চলে যাই এবং সেখানে প্রস্তাব রাখেন যে তারা মাইক্রো কম্পিউটারের জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করতে চাই। সাধারণত তাদের প্রোগ্রাম তৈরির এই চিন্তা ভাবনাটি মাইক্রো কম্পিউটার কোম্পানির পছন্দ হয়ে যায়। পরে তারা ইন্টার প্রিন্টার তৈরি করে এবং অ্যালেন এর জন্য একটি সিমুলেটর তৈরি করে।

সাধারণত এভাবেই প্রোগ্রাম তৈরি করতে করতে তারা মাইক্রোসফট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই। মাইক্রোসফট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার পরে ১৯৯০ সালের মধ্যে মাইক্রোসফট কোম্পানির আয় গিয়ে দাড়াই ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাধারণত এভাবেই মাইক্রোসফট কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। আশা করি মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? সে সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন।

মাইক্রোসফট এর জনক কে

আপনি যদি উপরের আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে মাইক্রোসফট এর জনক কে? এ বিষয়ে সম্পর্কে আর আলাদাভাবে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। মাইক্রোসফটের জনক হল দুইজন বন্ধু। সাধারণত তারা দুইজন ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং এর উপরে বেশ দক্ষ ছিল। তাহলে চলুন মাইক্রোসফট এর জনক কে? তাদের নাম জেনে নেওয়া যাক।

আমরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছি যে মাইক্রোসফটের জনক হলো দুজন বন্ধু। যেহেতু তাদের প্রোগ্রামের উপর বেশ আগ্রহ ছিল সেহেতু তারা এই বিষয়ে কাজ করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে কিন্তু সেই সময় কম্পিউটারের অনেক দাম হওয়ার কারণে তারা কাজ করতে পারে না। কিন্তু তাদের ইচ্ছা শক্তিকে তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

আরো পড়ুনঃ মহিলাদের ২১টি ঘরে বসে ইনকামের উপায় - নারীদের ঘরে বসে কাজ

মাইক্রোসফট হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কম্পিউটার প্রযুক্তি উৎপাদনকারী কোম্পানি। সাধারণত এই কোম্পানি কম্পিউটার ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার এবং লাইসেন্স তৈরি করে থাকে। সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন বিল গেটস এবং পল অ্যালেন। মাইক্রোসফট কোম্পানির সদর দপ্তর বর্তমান সময়ের যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন এর রেডমন্ড শহরে অবস্থিত।

কত সালে মাইক্রোসফট তৈরি করা হয়

কম্পিউটার ব্যবহার করে কিন্তু মাইক্রোসফট সম্পর্কে জানেনা এরকম মানুষ হয়তো কমে খুঁজে পাওয়া যাবে। আমরা ইতিমধ্যেই মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মাইক্রোসফট কম্পিউটার ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। বর্তমান সময়ে যে সকল কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ ডেক্সটপ রয়েছে সবগুলোতেই মাইক্রোসফট এর সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোসফট এর প্রথম প্রোগ্রাম হলো এম এস ডোস। কম্পিউটারের সব থেকে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ও মাইক্রোসফট কোম্পানি দ্বারা তৈরিকৃত। বর্তমান সময়ে বাজারের বেশিরভাগ অংশ মাইক্রোসফট দখল করে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই মাইক্রোসফট বাজারে এক নাম্বার অপারেটিং সিস্টেম কোম্পানি।

মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল। এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত করেন বিল গেটস এবং তার বন্ধু ও সহকারী পল অ্যালেন। সাধারণত তারা দুজন একত্রিত হয়ে মাইক্রোসফট কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত বাজারে শুধু মাইক্রোসফট এর জয়জয়কার চলতে আছে। অপারেটিং সিস্টেম সাধারণত মাইক্রোসফটের ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কাকে বলে?

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হলো মাইক্রোসফটের তৈরি একটি প্রোগ্রাম। সাধারণত মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দ্বারা বিভিন্ন ধরনের লেখা লেখির কাজ করা হয়। আমরা আমাদের প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের লেখা লেখির কাজ করে থাকি। সাধারণত এই লেখালেখির কাজগুলোকে আরো সহজ করতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড তৈরি করা হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মাধ্যমে যেকোনো লেখা খুব সহজেই লিখা যায়।

সাধারণত যেকোনো ধরনের ডকুমেন্টস তৈরি করতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। ডকুমেন্ট এর ভুলগুলোকে সঠিক করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় এছাড়া যে কোন ধরনের প্রজেক্ট, সিভি তৈরি করতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। সাধারণত অন্যান্য প্রোগ্রাম এর চাইতে খুব সহজেই এই কাজগুলো করা যায়।

মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো - মাইক্রোসফট এর জনক কেঃ উপসংহার

মাইক্রোসফট কিভাবে তৈরি হলো? মাইক্রোসফট এর জনক কে? কত সালে মাইক্রোসফট তৈরি করা হয়? মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কাকে বলে? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যেহেতু বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদের উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

আরো পড়ুনঃ ২০টি সেরা উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করুন

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। এছাড়া এ ধরনের তথ্য জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।২০৮৭৬


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url