গাইনোকোলজিস্ট ডাক্তার

 সাধারণ একজন এমবিবিএস ডাক্তার প্রায় সকল ধরণের রোগীদের সাধারণ সকল চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। কিন্তু ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করার জন্য যেই ধরণের সমস্যা সেই ধরণের সমস্যা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ হতে হয়। গাইনিকোলজিস্ট মানে হলো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।

সাধারণ এমবিবিএস ডাক্তাররা যখন স্ত্রীরোগের উপর বিশেষজ্ঞ হন তখন তাকে গাইনিকোলজিস্ট বলে। এখন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে একজন গাইনিকোলজিস্টের পেশা বা পদবী সংক্রান্ত আলোচনা করবো। শেষ পর্যন্ত সাথে থাকলে মোটামুটি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পেশা বা পদবী সংক্রান্ত কিছু তথ্য পেয়ে যাবেন।

গাইনিকোলজিস্টরা সাধারণত স্ত্রী প্রজননতন্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদান করা সহ মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সমস্যার জন্য পরামর্শ প্রদান এবং নবজাতকের প্রসব এর জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে।

ক্যারিয়ারঃ প্রাথমিক অবস্থায় এমবিবিএস ডাক্তার হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তীতে গাইনিকোলজিতে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করার মাধ্যমে গাইনিকোলজিস্ট হওয়া যায়। উক্ত পেশায় ধাপে ধাপে পদোন্নতি হয়ে থাকে। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গাইনিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট পর্যন্ত হওয়া যায়।

 

একজন গাইনিকোলজিস্ট

  • পদবীঃ গাইনিকোলজিস্ট, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, গাইনি ইত্যাদি।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ প্রাথমিক অবস্থায় এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। এবং গাইনিকোলজির বিভিন্ন ডিগ্রী যেমন- এমএস, এমডি, এফসিপিএস, এফআরসিএস ইত্যাদি ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। এবং এই ডিগ্রী গুলোর অর্জনের মধ্য দিয়ে গাইনিকোলজিস্ট বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হতে হয়।
  • প্রতিষ্ঠানঃ সরকারি-বেসরকারি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ইত্যাদি।
  • ধরনঃ পার্ট-টাইম, ফুল-টাইম।
  • অভিজ্ঞতাঃ পাঁচ-সাত বছর।
  • স্কিলঃ স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত জ্ঞান, স্ত্রী প্রজননতন্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান, রোগ নির্ণয়ের দক্ষতা, সঠিক ভাবে চিকিৎসা প্রদান করার দক্ষতা, ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান, বিভিন্ন চিকিৎসা প্রযুক্তিতে জ্ঞান, সেবা করার মনমানুসিকতা, সার্জারিতে পারদর্শিতা, মানুসিক চাপ সামলিয়ে কাজ করার সক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, ধৈর্য্য ইত্যাদি।
  • বেতনঃ চাকরির শুরুতে গাইনিকোলজিদের বেতন মূলতো ৩৫-৫০ হাজার টাকার ভিতর থেকে শুরু হয়ে থাকে। তবে প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী কম-বেশী হতে পারে।

 

কাজঃ সাধারণত গাইনিকোলজিস্টরা যেই ধরণের কাজগুলো করে থাকে সেই গুলো হলো-

  • রোগীর সাথে ভালো ভাবে কথা বলা ও তার সমস্যার কথাগুলো ভালো ভাবে শোনা
  • রোগীর যাবতীয় সমস্যা শোনার পর তার সম্ভাব্য রোগ বা সমস্যা নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা
  • স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি সার্জারি করার প্রয়োজন হলে তা করা
  • সন্তান প্রসব সংক্রান্ত যাবতীয় সাহায্য করা ও প্রয়োজন অপারেশন বা সার্জারি করা
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ করণের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা

উল্লেখিত কাজগুলো ছাড়াও গাইনিকোলজিস্টদের আরো নানা ধরণের কাজ করার প্রয়োজন হতে পারে তাদের পেশাগত দায়িত্বের কারণে।

কোথায় পড়বেন?

এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবস্টেট্রিক্স এন্ড গাইনিকোলজিতে মাস্টার অব সার্জন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে উক্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিদেশ থেকেও ডিগ্রী অর্জন করা যেতে পারে।

 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনাকে গাইনিকোলজিস্ট পেশা বা পদবী সংক্রান্ত মোটামুটি কিছু তথ্য জানিয়ে সহায়তা করতে পেরেছি। উক্ত পদবী সংক্রান্ত আরো কোনো কিছু জানার প্রয়োজন হলে দয়াকরে কমেন্ট করবেন। আমরা আপনার কমেন্টের যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া আপনি আরো কি বিষয়ে জানতে চান তা লিখেও কমেন্ট করতে পারেন।

পাঠক আমরা "চাকরি নিন" সাইটের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রকাশিত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংগ্রহ করে প্রকাশ করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরণের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url