এমবিবিএস ডাক্তার - এমবিবিএস ডাক্তার কি

আমাদের দেশে সবচেয়ে কাঙ্খিত একটি পেশা হলো ডাক্তারি পেশা। এই পেশায় আসতে চায়না এমন মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন। ডাক্তার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাচেলর অব মেডিসিন এন্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি ( এমবিবিএস ) ডিগ্রী নিতে হবে।

যেহেতু ডাক্তারি একটি সেবা মূলক পেশা সেহেতু এই পেশায় আপনাকে মানুষকে সেবা দান করার কাজটি নিখুঁত ভাবে করতে হবে এবং এটিই হচ্ছে আপনার মূল কাজ।

ক্যারিয়ারঃ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা একটি পেশা হলো ডাক্তারি পেশা। নিজেকে একবার এই পেশায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে আর পিছে তাকাতে হয় না। ক্যারিয়ার কেমন হবে আশা আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

একজন এমবিবিএস ডাক্তার

  • পদবীঃ মেডিকেল অফিসার ( প্রারম্ভিক )।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ মেডিকেল কিংবা ডেন্টাল কাউন্সিল থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী এমবিবিএস ডিগ্রীধারী হতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠানঃ সরকারি/বেসরকারি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ইত্যাদি।
  • ধরনঃ পার্ট টাইম/ফুল টাইম।
  • অভিজ্ঞতাঃ ইন্টার্নশিপ এর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • স্কিলঃ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা, চিকিৎসা প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা, ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা, নিরলস ভাবে কাজ করার সক্ষমতা, ধৈর্য্য ইত্যাদি।
  • বেতনঃ এমবিবিএস ডাক্তারদের বেতন ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো হয়ে থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে এর কম বা বেশীও হতে পারে।

কাজ/দায়িত্বঃ সাধারণত এমবিবিএস ডাক্তারগণ যেই ধরণের কাজ/দায়িত্ব পালন করে থাকেন সেগুলো হলো-

  •  প্রাথমিক পর্যায়ে ডাক্তাররা সাধারণত রোগী দেখার কাজ বা দায়িত্ব পালন করে থাকেন ( কাজের ক্ষেত্র বিশেষে দায়িত্বের জায়গা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে )।
  •  সম্ভব হলে রোগীর রোগের লক্ষণ বুঝে ঔষধ দেন। তবে বিশেষ প্রয়োজন অবশ্যই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা করেন।
  •  রোগীর দায়িত্ব নেয়ার পর রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় দেখভাল করা ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।
  •  বিশেষ প্রয়োজনে রোগীর আত্নীয়-স্বজনদের সাথে আলোচনা করে অস্ত্রপাচার এর ব্যবস্থা করে থাকেন।
  •  চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন।

এছাড়াও একজন চিকিৎসক বা ডাক্তারগণ চিকিৎসা সংক্রান্ত আরোও নানা ধরণের কাজ করে থাকেন।

কোথায় পড়বেন?

বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি সব মিলিয়ে প্রায় একশোটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ন্যুনতম জিপিএ-এর ভিত্তিতে এবং সরকারি মেডিকেল কলেজে ন্যূনতম জিপিএ-এর পাশাপাশি প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে চান্স পেতে হয়।

  •  বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো করে খোজ খবর নিয়ে তারপর ভর্তি হবেন।

প্রিয় পাঠক আশা করছি এমবিবিএস ডাক্তার এর মোটামুটি বিস্তারিত আপনার সামনে তুলে ধরতে পেরেছি। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আমরা আপনার করা প্রশ্ন বা কমেন্ট এর অবশ্যই যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়াও আপনি আরোও কি বিষয়ে জানতে চান তা লিখেও কমেন্ট করতে পারেন।

পাঠক আমরা "চাকরি নিন" ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রকাশিত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো সংগ্রহ করে প্রকাশ করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরণের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url