বুক ভার হয়ে থাকে কেন

আপনারা কি বুক ভার হয়ে থাকে কেন সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই বুক ভার হয়ে থাকে কেন পোস্টটি আপনাদের জন্য। বুক ভার হয়ে থাকে সাধারণত অতিরিক্ত পরিশ্রম, ব্যায়াম, আবেগ উচ্ছ্বাস, দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলা ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে। আজকে আমরা আলোচনা করব বুক ভার হয়ে থাকে কেন সে সম্পর্কে।

তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, বুক ভার হয়ে থাকে কেন সে সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ বুক ভার হয়ে থাকে কেন

বুক ভার হয়ে থাকে কেন

সাধারণ কারণে বা পরিশ্রমের কারণে সাময়িকভাবে আমাদের হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়, বুক ভার হয়ে যায় কিংবা ধরফর করে। কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলে এটা আবার ঠিক হয়ে যায়। অনেকে বলেন বুক ভার হয়ে থাকে কেন, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। যারা বুক ভার হয়ে থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চায়। আমাদের হৃদযন্ত্র একটা নির্দিষ্ট ছন্দে স্পন্দিত হতে থাকে। একে হার্টবিট কিংবা হৃৎ স্পন্দন বলে থাকে।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের ফিলিং করার পর করণীয়

একজন সুস্থ মানুষের হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হয়ে থাকে। তবে এই হার যে সব সময় একই রকম থাকবে সেটাও কিন্তু নয়। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হার্টবিট বাড়তে পারে বা বুক ভার হয়ে থাকতে পারে। কোন কোন পরিস্থিতিতে আবার হার্টবিট কমে যেতেও পারে। কিছু হৃদরোগ এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে ও হার্টবিট এদিক ওদিক হতে পারে।

হার্টবিট কেন বাড়ে

আজকের আর্টিকেলে বুক ভার হয়ে থাকে কেন সে সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা হার্টবিট কেন বাড়ে সে সম্পর্কে জানব। চলুন তাহলে দেখে আসি হার্টবিট কেন বাড়ে সে বিষয় গুলো।

  • সাধারণত অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে, খেলাধুলা, ব্যায়াম, সিঁড়ি ভাঙ্গা, আবেগ উচ্ছ্বাস, দৌড়ঝাঁপ, অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হার্টবিট বাড়তে পারে। কেননা এ সকল ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রকে বেশি কাজ করা লাগে।
  • রক্তশূন্যতা, জ্বর ও উদ্বেগ জনিত সমস্যা থাকার ফলে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ও ক্যাফেইন ও নিকোটিন গ্রহণ করার ফলে ও হার্টবিট বাড়ে।
  • রক্ত ক্ষরণ, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদির কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে হার্টবিট দ্রুত হতে থাকে।
  • ডায়াবেটিস রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিংবা রক্তের শর্করা যদি কমে যায় তাহলে ঘামের সাথে বুক ভার হয়ে থাকে, অর্থাৎ হার্টবিট বাড়তে শুরু করে।
  • হার্টের বিভিন্ন জটিলতার কারণে অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন হয়ে থাকে। যেমন জন্মগত হৃদরোগ, হার্টের ভালভের রোগ, এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন, হার্ট ফেলিওর ইত্যাদি। অ্যারিদমিয়া বা হৃৎস্পন্দন এর সমস্যার কারণে হার্টবিট বেশি হবার সম্ভাবনা থাকে।
  • এছাড়াও কিছু কিছু ওষুধ সাময়িকভাবে হার্টবিট বাড়িয়ে থাকে। যেমন উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ এমলোডিপিন, হাঁপানি রোগের ব্যবহৃত সালবিউটামল ইত্যাদি।

কিভাবে বুঝবেন বুক ভার হয়ে থাকে

অনেক কঠিন রোগের লক্ষণ সমূহ গুলোকে হালকা ভাবে দেখা হয়ে থাকে। যে লক্ষণ সমূহ গুলো দেখেও বোঝার ক্ষমতা হয় না যে শরীরে কোন ধরনের রোগ বয়ে বেড়ানো হচ্ছে। আমরা যদি একটু সচেতন হয় তাহলেই অনেক রোগ জটিল হবার আগেই চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারি। বুক ভার হয়ে থাকা তেমন বিরাট কোন লক্ষণ নয়। তবে এই বুকভার হয়ে থাকার কারণ জানলে হয়তো অবাক হবেন।

আরো পড়ুনঃ সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তার ১৫ টি করনীয়

বুকের মাঝখানে কিংবা বাম পাশে ভারী হয়ে থাকা বা হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর মত অনুভূতি হওয়া বা হৃদস্পন্দন অনুভব করাকে এক কথায় বলা হয়ে থাকে বুক ধরফর করা। বুকের মাঝখানে হৃদপিণ্ড স্পন্দিত হচ্ছে সব সময় কিন্তু অত্যধিক পরিশ্রমের সময় ব্যতীত মানুষ অন্য সময় এই হৃদস্পন্দন খেয়াল করে না। কেউ যদি স্বাভাবিক অবস্থাতেও হৃদস্পন্দন অনুভব করে থাকে তাহলে তাকে পাল পিটিশন বলা হয়ে থাকে। অল্প পরিশ্রম করলে কিংবা তাড়াতাড়ি কোন কাজ করতে গেলে অথবা একটু বেশি পরিমাণে পরিশ্রম, হালকা দৌড়াদৌড়ি বা হাঁটাহাঁটি করার সময় বুক ভার হয়ে গেলেও তাকে হৃদ রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

বুক ভার হলে কি করবেন

বুক ভার হয়ে থাকার কারণটা অনুসন্ধান করে সেটা দূর করাই হচ্ছে চিকিৎসা। যেমন হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় চিনির শরবত দ্রুত খেলে ঠিক হয়ে যেতে পারে। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে সেটা বন্ধ করা যায় নাকি তা দেখা লাগবে। জ্বর কিংবা রক্তশূন্যতা সেরে উঠলে হার্টবিট আবারো নিয়মিত হয়ে যায়। তবে এই ধরনের কোন কারণ যদি না থাকে তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার পড়তে পারে। অতি দ্রুত হার্টবিট থেকে অনেক সময় রোগী অচেতন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। স্ট্রোক হবারও সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য হার্টবিট দ্রুত কিংবা অনামিত যদি মনে হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

শেষ কথাঃ বুক ভার হয়ে থাকে কেন

বুক ভার হয়ে থাকে কেন বুক ভার হলে কি করবেন সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। বুক ভার হয়ে থাকে কেন সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, বুক ভার হয়ে থাকে কেন সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই বুক ভার হয়ে থাকে কেন সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url