আয়্যুরবেদিক এর সুফল

 গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। এর অর্থ হলো প্রত্যেকে আর্থিক কষ্ট ছাড়াই মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পাবে। এটি একটি সহজাত রাজনৈতিক লক্ষ্য, যা মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকারের মধ্যে নিহিত। 



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংবিধান উল্লেখ করেছে যে, স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ মান উপভোগ করা প্রতিটি মানুষের একটি মৌলিক মানবাধিকার।


আমাদের স্বাস্থ্য খাতে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে আয়ুর্বেদ এবং ইউনানির ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হতে পারে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আয়ুর্বেদ এবং ইউনানির মতো ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ব্যবহারের জন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, এটি সাশ্রয়ী এবং আমাদের দেশে সহজেই পাওয়া যায়।


এমনকি পশ্চিমা বিজ্ঞানীরাও ঐতিহ্যগত ওষুধের প্রতি ক্রমবর্ধমান মনোযোগ দিচ্ছেন। প্রমিত ফর্মুলেশন এবং আধুনিক উত্পাদনপদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে প্রাচীন পদ্ধতিটি নতুন মাত্রা পেয়েছে।



 প্রাকৃতিক চিকিৎসা আয়ুর্বেদ-ইউনানীর ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি দেশের সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বৈচিত্র্য, নমনীয়তা, সহজলভ্যতা, উন্নয়নশীল দেশে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা এবং উন্নত দেশে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, আপেক্ষিক কম খরচ, প্রযুক্তিগত ইনপুটের সুবিধা, আপেক্ষিক নিম্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক গুরুত্ব হলো ঐতিহ্যগত চিকিৎসাপদ্ধতির কিছু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ২০০২)।


যেহেতু আমাদের স্বাস্থ্য খাতে জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তাই আমরা ঐতিহ্যবাহী সেক্টরের কর্মীদের ব্যবহার করতে পারি। সময় এসেছে প্রাকৃতিক চিকিৎসাপদ্ধতিকে চিনতে এবং এর কর্মশক্তিকে কাজে লাগানোর।


 সংশ্লিষ্ট সবাই যথাযথ ভূমিকা পালন করলে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাব্যবস্থা আমাদের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার আাান্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url