জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি

জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। নিচে, জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হবে। তো চলুন দেখে নেই, জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি?

পেজ সূচিপত্র: জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি

ভূমিকা

শরীরে যতগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে তার সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। একেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের একেক ধরনের কাজ। প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে। যেমন আমরা কান দিয়ে শুনতে পাই অর্থাৎ কানের কাজ হলো শ্রবণ করা। 

চোখ দিয়ে দেখতে পাই অর্থাৎ চোখের কাজ হলো দেখা। ঠিক তেমনিভাবে জিহ্বার নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে। আর জিহ্বার কাজ হল খাদ্যের স্বাদ নির্ণয় করা, খাদ্য গ্রহণের সহায়তা করা, কথা বলতে সহায়তা করা ইত্যাদি। জিহ্বার মধ্যে অনেকগুলো অংশ রয়েছে। 

প্রত্যেকটি অংশের আবার আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। যাই হোক, জিহ্বার প্রধান কাজ হল স্বাদ অনুভব করা। জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিচে উল্লেখ করা হবে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক, জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর। 

জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি

জিহ্বার অগ্রভাগ বা সামনের অংশ দিয়ে আমরা সাধারণত মিষ্টি স্বাদ অনুভব করি। জিহ্বার পিছনের অংশ দিয়ে ঝাল অনুভব করি, জিহ্বার পার্শ্বদেশগুলো দিয়ে লবণ ও টক অনুভব করে থাকি। কিন্তু জিহ্বার মধ্য অংশে কোন ধরনের টেস্ট বাড না থাকায় সেখানে টক ঝাল মিষ্টি কোনটাই অনুভূত হয় না। 
তবে কারো কারো মতে জিহ্বার সব জায়গাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে টেস্ট বাড রয়েছে, ফলে জিহ্বার চতুর অংশ দিয়েই স্বাদ অনুভব করা যায়। যাই হোক, জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি? আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন।

জিহ্বায় ঘা কেন হয়

বিভিন্ন কারণবশত অনেক সময় জিহ্বায় ঘা হতে পারে। সাধারণত যে সকল কারণে জিহ্বায় ঘা হয় সেই কারণগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়েন তাহলে জিহ্বায় ঘা হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 
  • কামড় লাগা: জিহ্বায় ঘা হওয়ার সবথেকে কমন কারণ হলো কামড় লাগা। কামড় লাগার কারণেই সাধারণত জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। আপনি যদি নিজেকে জিহ্বার ঘা থেকে নিরাপদ রাখতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে, কোনোক্রমেই যেন জিহ্বায় কামড় না লাগে। 
  • এসিডযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া: জিহ্বায় ঘা হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো অধিক পরিমাণে এসিড যুক্ত খাবার খাওয়া। আপনি যদি অধিক পরিমাণে এসিরযুক্ত খাবার খান, তাহলে সেই খাবারগুলো আপনার জিহ্বাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই জিহ্বা সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত এসিডযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। 
  • অত্যধিক পরিমাণে গরম খাবার খাওয়া: অতিরিক্ত গরম খাবার যদি আপনি মুখে দেন সেক্ষেত্রে জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অতিরিক্ত গরম চা কফি কিংবা অন্যান্য যে কোন খাবার খাওয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। এবং সর্বদা সাবধান থাকতে হবে। 
  • ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: কিছু কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে এই ধরনের সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। তাই ঔষধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সেই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। 
  • এলার্জির কারণে: কখনো কখনো এলার্জির কারণেও জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। আপনার যদি এলার্জির কারণে জিহ্বায় ঘা হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে এলার্জির চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কেননা এলার্জির কারণে ঘা হলে আপনি যত চিকিৎসাই করেন না কেন, তা ভালো হবে না।
  • মুখের ইনফেকশন: মুখে যদি কোন ধরনের ইনফেকশন থাকে তাহলে এর ফলেও জিহ্বায় ঘা হতে পারে। তাই সর্বদা আপনাকে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং সব ধরনের ইনফেকশন থেকে নিরাপদ রাখতে হবে। 
  • হরমান জনিত সমস্যা: হরমোন জনিত সমস্যার কারণেও জিহ্বায় ঘা হতে পারে। যদি হরমোন জনিত জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে ভালো কোন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। 

জিহ্বায় ঘা হলে করণীয়

জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জিহ্বায় ঘা হলে করণীয় কাজ সমূহ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। 

জিহ্বায় যদি ঘা হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই জিহ্বায় ঘা হলে অবশ্যই আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব এর চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সঠিক সময় যদি আপনি উপযুক্ত চিকিৎসা করতে পারেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই জিহ্বায় ঘা দূর করা সম্ভব। 
  • গরম পানিতে লবণ মিশ্রিত করে কুলি করুন: আপনি যদি নিয়মিত কিছুদিন গরম পানিতে লবন মিশ্রিত করে গড়গড়া করেন, তাহলে আশা করা যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জিহ্বার ঘা থেকে মুক্তি পাবেন। 
  • এসিড যুক্ত খাবার পরিহার করুন: পূর্বেই বলা হয়েছে যে, এসিডযুক্ত খাবার জিহ্বার ঘা এর জন্য দায়ী। তাই আপনাকে এসিড যুক্ত খাবার সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। 
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন: আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে জিহ্বার ঘা দূর করতে চান, তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। 
  • ওভার দ্যা কাউন্টার ঔষধ সেবন করুন: জিহ্বার ঘা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয় সেক্ষেত্রে ওভার দ্যা কাউন্টার ঔষধ সেবন করতে পারেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি সাময়িকভাবে সুস্থ হতে পারবেন। 
  • ডাক্তারের পরামর্শে ওয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করুন: জিহ্বায় ঘা তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ওয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করতে হবে। খাওয়ার ঔষধের পাশাপাশি ওয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করলে অল্প সময়ের মধ্যেই জিহ্বার ঘা ভালো হয়ে যায়। তবে কখনই হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শে কোনো ধরনের ঔষধ খাবেন না এবং ওয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করবেন না। কেননা এতে করে সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
  • এলকোহল পরিহার করুন: আপনার যদি অ্যালকোহল খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনাকে তার সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। কেননা জিহ্বায় ঘা হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অ্যালকোহল খাওয়া। যদি এখন অ্যালকোহল পরিহার করেন তাহলে আশা করা যায় জিহ্বার ঘা দূর হয়ে যাবে। 
  • ধূমপান পরিহার করুন: ধূমপান করলে মুখের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু বাসা বাধে, ফলে জিহ্বায় ঘা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধূমপান পরিহার করতে হবে। 
  • নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন: শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে তা জিহ্বার সাথে ঘর্ষণের ফলে জিহ্বায় ঘা হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শক্ত ব্রিস্টল ব্যবহার করার কারণে জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনাকে সব সময় নরম ব্রিস্টল যুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। 

শেষ কথা

আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি, জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আমরা কোন স্বাদ অনুভব করি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। আশা করি তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে, তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url