কাকে বিয়ে করব কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব

বিয়ে করবো বললেই বিয়ে করা হয়ে যায় না। আর ইসলামিক দৃষ্টিতে তো নয়ই। আপনার এমনও হতে পারে আপনি বিয়ে করলেন কিন্তু আপনার বিবাহ আল্লাহর নিকট কবুল হয়নি। তখন আপনার বিবাহিত বউয়ের সঙ্গে জেনার সম্পর্কই থেকে যাবে। তাই অবশ্যই বিয়ে করার পূর্বে ইসলাম কি বলেছে, কি নির্দেশনা দিয়েছে সে সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। ইসলামে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কি বলা হয়েছে তা জানতে হবে।

বিয়েটা কোন সাধারণ কিছু না তাই এটার জন্য মানসিকভাবে অনেক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। একটা ছেলেকে ভাবতে হবে যে সে যেই মেয়েকে বিয়ে করে আনবে সেই মেয়ে তার জন্য পরিবার ছেড়ে আসবে সুতরাং তার প্রতি সহানুভুতিশীল হতে হবে। শশুর শাশুড়ির যে অধিকার ও মর্যাদা রয়েছে তা জানতে হবে। বিয়ের আগে ইসলামে বিয়ের যে ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে সে সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হবে।

বিয়ের আগে ছেলে ও মেয়ের উভয়েরই বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। আজকে আপনাদের সেসব করণীয় সম্পর্কেই জানানো হবে। বিয়ের পূর্বে ছেলে অথবা মেয়ের প্রথম কাজ হচ্ছে দোয়া করা। প্রতিদিন নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে ভালো জীবনঙ্গী পাওয়ার জন্য দোয়া করা, পরবর্তী করণীয় হবে দ্বীনদার ছেলে/মেয়েকে খুজে বের করে নেওয়া। আমরা বর্তমানে বিয়ের জন্য যেটা দেখি তা হচ্ছে মেয়ের বাবার বা ছেলের বাবার অবস্থা, টাকাপয়সা, ছেলের চাকরি আছে কি না ইত্যাদি। কিন্তু দেখতে হবে যা তা হচ্ছে মেয়ে দ্বীনদার কি না।

স্বামী স্ত্রীর একে অপরের প্রতি যে অধিকার সেটা জানতে হবে। স্বামী স্ত্রীর সকল ধরণের দ্বায়িত্ব পালন করবে, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি সব। আর স্ত্রী স্বামীর অনুগত হয়ে থাকবে। স্ত্রীর পূর্বেই ঘরের কাজ জেনে রাখতে হবে। যেমন রান্না বান্না সহ দৈনন্দিন সকল ধরনের কাজ। আর স্বামীকে অবশ্যই হালাল রোজগারের পন্থা আগে থেকেই বের করে রাখতে হবে। আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যখন ঝগড়া লাগবে তখন এমন কথা যেন না বলে যার দ্বারা তালাক হয়ে যায়। তাই তালাক সংক্রান্ত মাসালা জেনে রাখতে হবে।

কখন বিয়ে করবেন সেই কথায় যদি আসা যায় তাহলে বলবো অল্প বয়সেই বিয়ে করে ফেলুন, বিয়ে করলে জীবন থেমে যায় না বরং নতুন গতি পায়। আর বর্তমান যুগের ফিতনা ফাসাদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। জীবনে পাপ কম হবে। আর যেভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন তা হচ্ছে বিয়ের পূর্বে অবশ্যই পরিবারে সাথে আলোচনা করবেন। আর পাত্র/পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে দ্বীনদার কি না সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিয়ের আগে পাত্রীর সাথে কথা বলা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেননা আপনি যাকে বিয়ে করবেন তার সম্পর্কে তার মুখে জানা প্রয়োজন। আপনি যাকে বিয়ে করবেন সে আপনাকে পছন্দ করেছে কি না তা অবশ্যই তার মুখ থেকে আপনি জেনে নিবেন। আপনার পছন্দ অপছন্দের কথা আপনি বলবেন, তার কেমন পছন্দ অপছন্দ সেও আপনাকে বলবে। এভাবে নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া হয়ে গেলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিবেন।